আপনার শিশুর দৈনন্দিন জীবনের রুটিন তৈরির সহজ কিছু কলা-কৌশল
কয়েক মাস ধরে শিশুর যত্ন ঠিক মতো নিতে নিতে আপনি বুঝে যাবেন যে কোন সময়ে তার খাওয়া- ঘুম-বিশ্রাম-ডায়পার পরিবর্তন প্রয়োজন। শিশুর দৈনন্দিন অভ্যাসের এই রুটিনের সাথে খাপ খাইয়ে আপনার নিজের কাজের সময়সূচীও পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। তবে একটা সময়সূচী ঠিক করার পরেও মাঝে মাঝে সাধারণ দিনের মতো রুটিন নাও থাকতে পারে, অতিরিক্ত কাজের চাপ আসতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা ৭ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন তৈরীতে সহজ কিছু কলা কৌশল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
দিন এবং রাতের জন্য আলাদা সময়সূচী তৈরী করুন:
শিশুর পক্ষে রাত এবং দিন আলাদা করা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ বাবা-মায়ের চিন্তা থাকে সন্তান রাতে ঠিক মতো ঘুমাবে কি না। শিশুকে দিনের আলোতে বাইরে নিয়ে যান। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর ইতিবাচক দিক হলো শিশু দিন ও রাতের ভিতর পার্থক্য তৈরী করতে শেখে।
রাতে শিশুর শরীর ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মালিশ করে স্পঞ্জ দিয়ে গা মুছিয়ে দিন। স্বল্প আলোর ঘরে শিশুকে আস্তে আস্তে ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে শোনান। এতে করে শিশু বুঝতে পারবে যে রাতে ঘুমাতে হয়।
আপনার শিশু সন্তানের ইশারা বুঝতে শিখুন:
শিশুর জন্য দৈনন্দিন রুটিন ঠিক করতে গেলে তার ইশারা আপনাকে বুঝতে হবে। শিশু ২-৩ ঘন্টা ধরে খেলা, হামাগুড়ি ইত্যাদি দেয়ার পর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারে। দিনের কিছুটা সময় অল্প অল্প গুটি গুটি পায়ে হাঁটাহাঁটি করার পর শিশু একটা নির্দিষ্ট সময়ে মলত্যাগ করতে পারে। শিশুর এই সমস্ত কার্যকলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর উপর ভিত্তি করেই আপনি শিশু ও নিজের জন্য একটা দৈনন্দিন রুটিন তৈরী করে নেবেন।
শিশুর প্রয়োজনগুলো লিখে রাখুন:
আপনার শিশুর প্রতিদিনের রুটিনের প্রতি খেয়াল রাখুন। শিশুর নিত্যদিনের পরিবর্তন ও প্রয়োজনের জিনিসগুলি লিখে রাখুন। শিশু হয়তো দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কান্নাকাটি করবে। সেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নিজের সব কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা করুন। মোটকথা শিশু সম্পর্কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা নোট করে রাখুন যাতে শিশু বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আপনি ওর পরিবর্তনগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারেন।
ধৈর্যশীল হোন:
শিশুর জন্য দৈনন্দিন রুটিন ঠিক করাটা খুব সহজ মনে হলেও বাস্তবে অনেক কিছুর সাথে আপস করেই চলতে হয়। শিশুর হঠাৎ করে বেড়ে ওঠা, দাঁত ওঠা, ঘুমের স্বল্পতা ইত্যাদির কারণে শিশুর রুটিনে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে। ঘুম কম হওয়া, খিটখিটে মেজাজ, কান্নার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া সব কিছুই খুব সাধারণ লক্ষণ। এ সময় শিশুর সাথে খুব নমনীয় ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, শিশুর সকল ব্যবহারই তার স্বাভাবিক বিকাশের লক্ষণ।
তথ্যসূত্রঃ
- https://www.parents.com/baby/care/american-baby-how-tos/establish-routine-with-baby/
- 2.https://www.babycentre.co.uk/a1051918/seven-steps-to-creating-a-successful-baby-routine