আপনার শিশুর মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধির উপায়
শিশুর মোটর স্কিলের উন্নয়ন বলতে বোঝায় শিশুর হাত-পায়ের পেশিগুলোর ব্যবহারের উন্নয়ন। বাড়ন্ত বয়সে শিশু ধীরে ধীরে নিজের ছোট ছোট কাজগুলো করতে শেখে খেলার মাধ্যমে। যেমন, পেন্সিলের ব্যবহার, লোগো দিয়ে কিছু বানানো, প্লে-ডো খেলা, নিজের টিফিন বক্স নিজে খুলতে পারা এসব কাজে শিশুর পেশীর ব্যবহার আস্তে আস্তে উন্নত হয়। এটিই শিশুর মোটর স্কিল ডেভেলপমেন্ট।
মোটর স্কিল উন্নত করতে হলে শিশুকে বিভিন্ন ধরনের ক্রাফটিং কাজের সাথে যুক্ত করা যেতে পারে। খেলার মাধ্যমেও শিশুর মোটর স্কিল উন্নয়ন করা বেশ সহজ কারণ খেলতে গেলেই শিশু সবার আগে হাত পায়ের ব্যবহার করে। শিশুর জন্য খেলনা বাছাই করার আগে মোটর স্কিলের কথা মাথায় রাখা উচিত।
শিশু বেড়ে ওঠার সাথে সাথে খেলার পাশাপাশি নানারকম শিক্ষণীয় কাজ করাও জরুরি। শিশুকে খেলতে খেলতে বিভিন্ন জিনিস শেখানোও মোটর স্কিল উন্নয়নের ভিতর পড়ে। যেমন, খেলাচ্ছলে নিজের জুতোর ফিতে বাঁধতে শেখানো, জামার বোতাম লাগানো, নিজের চুল আঁচড়ানো, দাঁত ব্রাশ করা ইত্যাদি চেষ্টা করা যেতে পারে। নিজের কাজ নিজে করতে শিখতে পারলে শিশুর কাজের মান ও গতি দুটোই উন্নত হবে।
তবে মোটর স্কিল উন্নয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাত-পায়ের পেশি শক্ত করা
শিশুর হাত-পায়ের পেশি শক্ত করার জন্য প্লে-ডো ধরনের খেলনা খুবই কার্যকর। প্লে-ডো দিয়ে মুচড়ে, বেঁকিয়ে বিভিন্ন আকৃতির জিনিসপত্র বানাতে শিশুর হাতের পেশিতে চাপ পড়ে। এছাড়া হাতের পেশি শক্ত করতে কাগজের বল বানাতে দিতে পারেন, রাবার নিয়ে খেলতে দিতে পারেন। পায়ের পেশি শক্ত করতে শিশুকে নিয়মিত কিছুক্ষণ দৌঁড়াদৌঁড়ি বা পায়ে ঠেলে বল খেলতে দিন।
হাত ও চোখের সমন্বয়
শিশুর চোখ ও হাতের সমন্বয় ঠিক রাখতে তাকে নানা ধরনের রঙ পেন্সিল দিয়ে আঁকতে দিতে পারেন। এছাড়া জল রঙ দিয়েও খেলতে দিতে পারেন। স্পঞ্জ দিয়ে রঙ করতে দিলে স্পঞ্জে পানি চাপার ফলে আঙুলের পেশি শক্ত হবে। আবার আঁকাঁকির কারনে হাত এবং চোখের সমন্বয় ঠিক থাকবে।
শিশুর সৃষ্টিশীলতা
মোটর স্কিল বাড়ানোর আরেকটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে শিশুকে সৃষ্টিশীল করে তোলা যেমন কাগজ দিয়ে খেলতে খেলতে অরিগামি করা, পাখি বানানো, ফুল-ফল, বল ইত্যাদি তৈরী করা। লোগো সেট দিয়ে বিল্ডিং, গাড়ি এসব বানিয়ে শিশুকে মনের মতো খেলতে দিতে হবে।