a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmark Category
  • Please login to view Category

কাজে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন

JFB Bookmark(0)

No account yet? Register

সন্তান জন্মের পরের কয়েক মাস নবজাতকের যত্ন একটু বেশিই নিতে হয়। যত্ন নিতে হয় অনেক সময় দিন-রাত এক হয়ে যায়, সময়ের খেয়াল থাকে না। সারাদিন ডায়পার পরিবর্তন ও নবজাতকের খাওয়া-দাওয়ার পিছনেই চলে যায়। এ সময় ঘরের অন্যান্য কাজ এমনকি নিজের যত্ন নেয়ার সময়ও পাওয়া যায় না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ও কিন্তু শেষ হয়ে যায় এবং আপনার কাজে যোগ দেয়ার সময় ঘনিয়ে আসে।

 

আপনার সঙ্গীর সাথে পরিকল্পনা করে সময় ভাগ করে নিন:

আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনেই যদি কর্মজীবী হন তাহলে নবজাতককে ঘরে রেখে কাজ করতে যাওয়া আসলেই কঠিন একটা ব্যাপার। তবে এ সময় যদি একে অন্যের সাথে পরিকল্পনা করে দুজন দুজনকে সহযোগিতা করেন তাহলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়। যেমন, কোনো একদিন যদি বাবা অথবা মা যে কেউ ব্যস্ত থাকেন তবে অপরজন বাচ্চাকে চাইল্ডকেয়ার সেন্টার থেকে নিয়ে আসার কাজটি করতে পারেন। যতক্ষন পর্যন্ত অপরজনের ব্যস্ততা কমছে বা তিনি বাসায় ফেরত আসছেন ততক্ষণ বাচ্চার দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এটা পুরোটাই একে অন্যকে সহযোগিতা করার বিষয়।

 

বুকের দুধ সংরক্ষণ, কৌটার দুধ খাওয়ানো বা অন্য যে কোনো শক্ত খাবার যেভাবে দিতে হবে: 

আপনি যদি একচেটিয়াভাবে বাচ্চাকে শুধু বুকের দুধই খাওয়ান, তাহলে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আগে আপনাকে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার পাম্পের মাধ্যমে দুধ বের করতে হবে। যে পাম্পের মাধ্যমে সহজেই দুধ বের করা যায়, সেগুলোই কিনুন। জীবাণুমুক্ত পাত্রে পাম্প করা দুধ সংরক্ষণ করুন এবং ফ্রিজে রাখুন। বাচ্চার যত্ন নেওয়ার জন্য যাকে রেখেছেন, তার কাছে পাম্প করা দুধ রাখুন যাতে সে সময় মতো বাচ্চাকে খাওয়াতে পারে।

আপনি যদি বাচ্চাকে কৌটার দুধ খাওয়ান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ জীবাণুমুক্ত বোতল সংরক্ষিত রাখুন। বাচ্চার যত্নের দায়িত্ব যাকে দিচ্ছেন, সে যেন সহজেই গরম পানির সাথে দুধ মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারে তাই যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস তাকে দিন। কতোটুকু পানির সাথে কতোটুকু দুধ মেশাবে এই পরিমাণ অবশ্যই লিখে দিয়ে আসতে ভুলবেন না।

আপনি আপনার কাজে যোগ করতে করতে বাচ্চার বয়স যদি ৬ মাস হয়ে যায় তাহলে বাচ্চাকে শক্ত খাবার দেয়া শুরু করুন। শক্ত খাবার শুরু করার সময় খুব অল্প পরিমাণে খাওয়াবেন। চেষ্টা করবেন একটি বা দুটি উপাদানেই খাবার তৈরী করতে। প্রথম দিকে শক্ত খাবার হিসেবে কলা ভর্তা, সিদ্ধ আলু, ওটস, চালের সুজি ইত্যাদি সবচেয়ে ভালো। খাবারগুলি আগেই তৈরী করে রাখুন। কাজেই বাচ্চার লালনপালনকারী যখন খাওয়াবে তখন যেন তাকে খাবারটি শুধু গরম করে নিলেই হয়।

পোষাক, ডায়পার, মুখ মোছার কাপড়, কম্বল: 

বাচ্চার লালনপালনকারী্র সুবিধার জন্য এবং আপনার নিজের মনের সান্ত্বনার জন্য বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন অতিরিক্ত পোশাক, ডায়পার, মুখ ও শরীর মোছার আলাদা কাপড়, কম্বল রাখুন। নবজাতক শিশুর সাধারণত ঘন ঘন পোশাক পরিবর্তন করতে হয়। তাদের কম্বল ও বারবার ভিজিয়ে দেয় বলে বারবার পরিষ্কার করতে হয়।

কাজের সুব্যবস্থা: 

কাজে যোগদান করার আগে আপনার ওপরের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে নিন। আপনি যে কাজে ফিরতে উৎসাহী সেটাও যেমন তাকে বোঝান, তেমন কাজের পাশে নতুন মা হওয়া, বাচ্চার যত্ন নিয়ে নিজের উদ্বেগ সম্পর্কেও তাকে অবহিত করুন। আপনি কিছু বিকল্প উপায়ের প্রস্তাব দিতে পারেন। যেমন মাঝে মাঝে অফিসের কিছু কাজ  বাসায় বসে করে দেয়া বা অফিসের বিরতিতে বাচ্চাকে খাইয়ে দেওয়া। কর্মক্ষেত্রে দুধ পাম্প করার জন্য আলাদা জায়গা থাকা উচিত। দুধ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ থাকাও জরুরি। আপনার উপরের কর্মকর্তাকে বোঝান যে আপনি একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই আপনার কাজের গতি ঠিক হতে কিছু সময় আপনার প্রয়োজন।

সন্তান জন্মের পরের কয়েক মাস নবজাতকের যত্ন একটু বেশিই নিতে হয়। যত্ন নিতে হয় অনেক সময় দিন-রাত এক হয়ে যায়, সময়ের খেয়াল থাকে না। সারাদিন ডায়পার পরিবর্তন ও নবজাতকের খাওয়া-দাওয়ার পিছনেই চলে যায়। এ সময় ঘরের অন্যান্য কাজ এমনকি নিজের যত্ন নেয়ার সময়ও পাওয়া যায় না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ও কিন্তু শেষ হয়ে যায় এবং আপনার কাজে যোগ দেয়ার সময় ঘনিয়ে আসে।

আপনার সঙ্গীর সাথে পরিকল্পনা করে সময় ভাগ করে নিন:

আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনেই যদি কর্মজীবী হন তাহলে নবজাতককে ঘরে রেখে কাজ করতে যাওয়া আসলেই কঠিন একটা ব্যাপার। তবে এ সময় যদি একে অন্যের সাথে পরিকল্পনা করে দুজন দুজনকে সহযোগিতা করেন তাহলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়। যেমন, কোনো একদিন যদি বাবা অথবা মা যে কেউ ব্যস্ত থাকেন তবে অপরজন বাচ্চাকে চাইল্ডকেয়ার সেন্টার থেকে নিয়ে আসার কাজটি করতে পারেন। যতক্ষন পর্যন্ত অপরজনের ব্যস্ততা কমছে বা তিনি বাসায় ফেরত আসছেন ততক্ষণ বাচ্চার দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এটা পুরোটাই একে অন্যকে সহযোগিতা করার বিষয়।

বুকের দুধ সংরক্ষণ, কৌটার দুধ খাওয়ানো বা অন্য যে কোনো শক্ত খাবার যেভাবে দিতে হবে: 

আপনি যদি একচেটিয়াভাবে বাচ্চাকে শুধু বুকের দুধই খাওয়ান, তাহলে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আগে আপনাকে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার পাম্পের মাধ্যমে দুধ বের করতে হবে। যে পাম্পের মাধ্যমে সহজেই দুধ বের করা যায়, সেগুলোই কিনুন। জীবাণুমুক্ত পাত্রে পাম্প করা দুধ সংরক্ষণ করুন এবং ফ্রিজে রাখুন। বাচ্চার যত্ন নেওয়ার জন্য যাকে রেখেছেন, তার কাছে পাম্প করা দুধ রাখুন যাতে সে সময় মতো বাচ্চাকে খাওয়াতে পারে।

আপনি যদি বাচ্চাকে কৌটার দুধ খাওয়ান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ জীবাণুমুক্ত বোতল সংরক্ষিত রাখুন। বাচ্চার যত্নের দায়িত্ব যাকে দিচ্ছেন, সে যেন সহজেই গরম পানির সাথে দুধ মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারে তাই যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস তাকে দিন। কতোটুকু পানির সাথে কতোটুকু দুধ মেশাবে এই পরিমাণ অবশ্যই লিখে দিয়ে আসতে ভুলবেন না।

আপনি আপনার কাজে যোগ করতে করতে বাচ্চার বয়স যদি ৬ মাস হয়ে যায় তাহলে বাচ্চাকে শক্ত খাবার দেয়া শুরু করুন। শক্ত খাবার শুরু করার সময় খুব অল্প পরিমাণে খাওয়াবেন। চেষ্টা করবেন একটি বা দুটি উপাদানেই খাবার তৈরী করতে। প্রথম দিকে শক্ত খাবার হিসেবে কলা ভর্তা, সিদ্ধ আলু, ওটস, চালের সুজি ইত্যাদি সবচেয়ে ভালো। খাবারগুলি আগেই তৈরী করে রাখুন। কাজেই বাচ্চার লালনপালনকারী যখন খাওয়াবে তখন যেন তাকে খাবারটি শুধু গরম করে নিলেই হয়।

পোষাক, ডায়পার, মুখ মোছার কাপড়, কম্বল: 

বাচ্চার লালনপালনকারী্র সুবিধার জন্য এবং আপনার নিজের মনের সান্ত্বনার জন্য বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন অতিরিক্ত পোশাক, ডায়পার, মুখ ও শরীর মোছার আলাদা কাপড়, কম্বল রাখুন। নবজাতক শিশুর সাধারণত ঘন ঘন পোশাক পরিবর্তন করতে হয়। তাদের কম্বল ও বারবার ভিজিয়ে দেয় বলে বারবার পরিষ্কার করতে হয়।

কাজের সুব্যবস্থা: 

কাজে যোগদান করার আগে আপনার ওপরের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে নিন। আপনি যে কাজে ফিরতে উৎসাহী সেটাও যেমন তাকে বোঝান, তেমন কাজের পাশে নতুন মা হওয়া, বাচ্চার যত্ন নিয়ে নিজের উদ্বেগ সম্পর্কেও তাকে অবহিত করুন। আপনি কিছু বিকল্প উপায়ের প্রস্তাব দিতে পারেন। যেমন মাঝে মাঝে অফিসের কিছু কাজ  বাসায় বসে করে দেয়া বা অফিসের বিরতিতে বাচ্চাকে খাইয়ে দেওয়া। কর্মক্ষেত্রে দুধ পাম্প করার জন্য আলাদা জায়গা থাকা উচিত। দুধ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ থাকাও জরুরি। আপনার উপরের কর্মকর্তাকে বোঝান যে আপনি একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই আপনার কাজের গতি ঠিক হতে কিছু সময় আপনার প্রয়োজন।

 

 

 

তথ্যসূত্রঃ 

  1. https://www.workingmother.com/9-ways-to-make-returning-to-work-after-maternity-leave-as-painless-as-possible
  2. https://www.whattoexpect.com/first-year/returning-to-work-after-maternity-leave-emotions
  3. https://happyyouhappyfamily.com/work-after-maternity-leave/
POST A COMMENT

Copyright © 2021 Marico. All Rights Reserved.