শিশুদের সাধারণ কিছু জরুরি অবস্থা এবং তাতে করণীয়
ছোট শিশুরা মুখে কিছু বলতে পারে না বলে অনেক ইমার্জেন্সি অবস্থায় তারা একটু বেশি দুর্বল অবস্থায় থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে হুটহাট বেশ কিছু সমস্যা তৈরী হয়ে যায় যেগুলোর জন্য সব বাবা-মায়েদেরই একটু সতর্ক থাকতে হয়। সেরকম কিছু ইমার্জেন্সি অবস্থায় বাবা মাদের কেমন সতর্ক থাকা উচিত এবং কী করা উচিত সেটা জেনে আসা যাক।
শ্বাসকষ্ট:
ছোট বাচ্চাদের শ্বাস নেওয়ার সমস্যা থেকে অনেক সময় জটিল কিছু হতে পারে। হঠাৎ করে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট হয়ে শিশুর শরীর নীল হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অনেক সময় নিউমোনিয়া, ঠান্ডা-জ্বর, সর্দি এসবের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
শিশুর এরকম শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমেই তাকে খোলা বাতাসে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর শিশুর শ্বাস যদি স্বাভাবিক না হয় তবে তাকে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান।
হাত-পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়া:
শিশুর শরীরের হাড় মজবুত হতে কিছু সময় নেয়। ছোট শিশু চঞ্চল হলে অনেক সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়ে গিয়ে নরম হাড় সহজেই ভেঙে যেতে পারে। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে শিশুর এরকম কোথাও হাড় ভেঙে গেছে, বা হাত পায়ের জয়েন্ট অংশ ফুলে উঠেছে তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় পর্যন্ত তাকে আদর করে কান্না থামিয়ে রাখুন, বা খুব বেশি কান্না-কাটি করলে আপনার শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে যাওয়া:
শিশুদের জন্য সবচেয়ে কম ব্যাপার হলো হাতে-পায়ের এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে যাওয়া। সাধারণত শিশুর নখ খুব ধারালো হয়, তাই কেটে না রাখলে বড় নখের আঁচড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে বা ছিলে যেতে পারে। তাই শিশুর হাত এবং পায়ের নখ সবসময় ছোট রাখুন। জেগে থাকা অবস্থায় শিশুর নখ কাটা কঠিন তাই ঘুমন্ত অবস্থায় নখ কেটে দিন।
তবে যদি নখের আঁচড়ে বেশি কেটে যায় বা রক্তপাত বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
ডায়রিয়া এবং বমি:
শিশুদের আরেকটি সাধারণ রোগ হলো বমি এবং ডায়রিয়া। একটা বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা হাতের কাছে যা পায় সেটাই মুখে দিতে থাকে। সেক্ষেত্রে ফুড পয়জনিং হতে পারে সাধারণ একটা সমস্যা। তবে ডায়রিয়া এবং বমিতে শিশুর শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ সময় তাকে বেশি বেশি খাবার স্যালাইন খাওয়ান এবং শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নাক বা কানের ছিদ্রে কোনো কিছু ঢুকে যাওয়া:
প্রায় প্রতিটা শিশুই কোনো না কোনো সময় নাকে বা কানে ছোট কোনো জিনিস ঢুকে যাওয়ার সমস্যায় পড়ে। এরকম সমস্যা হলে অবিলম্বে আপনার শিশুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং নিকটস্থ জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করুন।
শিশুরা যে কোনো সময় অসুস্থ বা আহত হতে পারে। ধৈর্য না হারিয়ে ঠান্ডা মাথায় সেসব মোকাবেলা করুন এবং যে কোনো প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।