a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmark Category
  • Please login to view Category

শিশুর প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

JFB Bookmark(0)

No account yet? Register

১ বছর বয়স থেকে আপনার সন্তান নিজ থেকে খাওয়া শুরু করবে। কাজেই এই সময়টাতে বিভিন্ন রকমের খাবার তার সামনে লোভনীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে সে নতুন নতুন খাবার চেখে দেখার আগ্রহ পায়।

 

 

এ বয়সের শিশুরা হাতে নিয়ে খাওয়া যায় এমন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে। মনে রাখতে হবে আপনার কাজ হল শিশুর সামনে বিভিন্ন রকম খাবার পরিবেশন করা, সে কোন খাবারটা কতটুকু খাচ্ছে সেটা লক্ষ্য রেখেই তার খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হবে। এ বয়সে শিশুর খাদ্যাভ্যাসে আরেকটা বড় পরিবর্তন আসে সেটা হলো পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ।

 

 

১২-১৮ মাস বয়সী শিশুদের কাপে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস শুরু করার জন্য ভালো সময়। শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ননীযুক্ত দুধে সবরকম পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আপনার পরিবারে যদি বংশগত স্থুলকায়তা বা হার্টের সমস্যা থাকে তবে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ থেকে স্বাদের পরিবর্তনের কারণে প্রথম দিকে শিশুরা গরুর দুধ খেতে চাইবে না, এক্ষেত্রে বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধের সাথে গরুর দুধ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। শিশুর আচরণের উপর খেয়াল রেখে এই মিশ্রণে গরুর দুধের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। তবে শিশুর শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখবার জন্য দিনে ২-৩ কাপের বেশি গরুর দুধ না দেওয়াই ভাল।

 

 

পরিপূরক খাবারঃ
টক জাতীয় ফল অন্যান্য খাবার থেকে আয়রন বের করে আনে এবং ভিটামিন-সি এর একটি বড় উৎস। এজন্য শিশুর প্রতি খাবারের সাথে টমেটো, কমলা, লেবু জাতীয় ফল রাখার চেষ্টা করতে হবে। টমেটো প্রাকৃতিক লাইকোপিনের একটি বড় উৎস যা ক্যান্সার ও হৃদরোগজনিত জটিলতা প্রতিরোধ করে। বেটা ক্যারোটিনে ভরপুর ফলগুলোও শিশুর খাবারে রাখা প্রয়োজন, কারণ এই বেটা ক্যারোটিন পরবর্তীতে ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত হয়। ফল ফলাদির পাশাপাশি শিশুকে সবজি দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সবজিতে রয়েছে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সালফার, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি।

শিশুর বাড়ন্ত বয়সের জন্য চাই আয়রনে পরিপূর্ণ খাবার; এজন্য খাদ্যতালিকায় আয়রনে পরিপূর্ণ খাবার যেমন মাছ, মাংস, কলা ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করতে হবে।
শিশুর খাবার সময় ও পরিমাণের ক্ষেত্রে রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। তবে মনে রাখতে হবে শিশুরা প্রতিদিন একই সময়ে একই পরিমাণের খাবার নাও খেতে পারে। নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করুন, কিন্তু শিশুকে খাওয়ার জন্য জোর না করে তার অভ্যাস এবং পছন্দ-অপছন্দগুলো বোঝার চেষ্টা করুন।

 

তথ্যসূত্রঃ

https://www.unicef.org/parenting/food-nutrition/feeding-your-baby-1-2-years
https://www.healthlinkbc.ca/healthlinkbc-files/meal-snack-ideas-1-3-year-old
https://kidshealth.org/en/parents/feed12yr.html
https://www.eatright.org/food/nutrition/eating-as-a-family/dos-and-donts-for-babys-first-foods
https://www.mayoclinic.org/healthy-lifestyle/infant-and-toddler-health/in-depth/healthy-baby/art-20047741
https://kidshealth.org/en/parents/feednewborn.html
https://www.mustelausa.com/dressing-to-prevent-baby-eczema-flare-ups
https://www.webmd.com/parenting/diaper-rash-treatment#1
https://www.desitin.com/preventing-diaper-rash/how-to-prevent-diaper-rash
https://www.webmd.com/parenting/baby/what-baby-skin-care-products-do-you-need-your-newborn
https://www.healthychildren.org/English/ages-stages/baby/diapers-clothing/Pages/Diaper-Rash.aspx

POST A COMMENT

Copyright © 2021 Marico. All Rights Reserved.