শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেভাবে বাড়াবেন
প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই যে কোনো ধরনের ছোট খাট রোগও শিশু শরীরে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই জন্মের পর থেকেই শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম, ঠিক মতো টিকাদান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নির্দিষ্ট কিছু রুটিন এবং টিপস মেনে চললে
স্তনপান করানো
শিশুর শরীরে পুষ্টির জন্যে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের বুকের দুধে টার্বো-চার্জযুক্ত অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুর শরীরে শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া মায়ের দুধে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। জন্মের পর শাল দুধ প্রতিটা শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সম্ভব হলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাই শিশুকে নিয়মিত বুকের দুধ পান করান।
মধু রাখুন খাদ্যতালিকায়
ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুরা ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শিশুকে আগে থেকেই প্রতিরোধী করে তুলতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মধু রাখতে পারেন। মধু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সহজে জ্বর-কাশি জাতীয় রোগ-বালাই আক্রমণ করবে না।
সঠিক খাদ্যাভাস
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করতে এবং শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সঠিক খাদ্যাভাসের বিকল্প নেই। শিশু বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আমিষ, স্নেহ জাতীয় পদার্থ, খনিজ এবং ভিটামিন থাকা চাই। শিশুকে অতিরিক্ত পরিমাণ বাইরের খাবার দেবেন না।। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ভিটামিন এ, বি, বি-কমপ্লেক্স, সি, ও ডি জাতীয় খাবার বেশি করে দিতে হবে। তাজা ফলমূল ও শাকসব্জি প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি শিশুকে সময় অনুযায়ী খাবার খাওয়াতে হবে।
ঘুমের সময়
পর্যাপ্ত ঘুম সব বয়সের মানুষের জন্যই খুব প্রয়োজন। তবে ছোট বাচ্চাদের জন্য এটা আরও বেশি জরুরি। শিশুদের ঘুমের স্বল্পতা স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই শিশুর সারাদিন-রাতে বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
বয়স অনুযায়ী প্রতিষেধক/টিকা
জন্মের পর শিশুদের মারাত্মক যে রোগগুলি হয় সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ধনুষ্টংকার, হাম, পোলিও ইত্যাদি। শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বয়স অনুযায়ী প্রতিষেধক/টিকা দেয়া জরুরি। বিসিজি, পোলিও, হাম, নিউমোনিয়া ইত্যাদির জন্য শিশুর নির্দিষ্ট বয়সে নির্দিষ্ট ডোজ রয়েছে। সাধারণত এইসব ডোজ শিশুর জন্মের দু সপ্তাহ থেকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে নিতে হয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সঠিক সময়ে সবগুলো প্রতিষেধক/টিকা শিশুকে দিয়ে নিন।
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]