সাধারণ অসুস্থতা বিষয়ক পরামর্শ
আপনার ছোট্ট সোনামণি যখন তখন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেবল তৈরি হচ্ছে। যে কোনো সময় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখবিসুখে তারা আক্রান্ত হতে পারে। যেটার মেয়াদ এক বা দুই সপ্তাহ হতে পারে। তখন মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে এবং বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণ তরল খাওয়াতে হবে যেন সে দ্রুত সেরে উঠতে পারে। বাচ্চার তীব্র জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, ডায়রিয়া বা অস্বাভাবিক র্যাশ হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এখানে শিশুকে আক্রান্ত করতে পারে এমন কিছু সাধারণ অসুখ বিসুখের কথা বলা হয়েছে।
মৌসুমী ফ্লু
প্রতি শীত শুরু হওয়ার আগে সাধারণত মৌসুমী ফ্লু হয়। আর শরৎ-এর শুকনো মৌসুমে ক্ষতিকর জীবাণুর সংস্পর্শে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই ফ্লু ঠেকাতে হলে নিয়মিত বাচ্চার হাত ও পা ধুতে হবে এবং বাসার সবকিছুর পরিষ্কার রাখতে হবে। সাইট্রাস ফলের ভিটামিন সি ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। সিজনাল ফ্লু এর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১০৪ ফারেনহাইটের বেশি হতে পারে।
ঠাণ্ডা
ঠাণ্ডা হলে বাচ্চার গলা ধরে যায় ও নাক বন্ধ হয়ে যায়। এটাও সাধারণ একটা উপসর্গ। বেশি ঠাণ্ডা লাগলে সেটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। বাচ্চা তখন খুব বিরক্ত থাকে এবং অস্থির আচরণ করে। নাক বন্ধ থাকলে রাতে ঘুমোতেও সমস্যা হয়। ঠাণ্ডার প্রকোপ ঠেকাতে বা কমাতে বাচ্চার শরীর প্রাকৃতিক তেল যেমন অলিভ বা আলমন্ড তেল দিয়ে নিয়মিত মালিশ করতে পারেন।
র্যাশ
শুরুর দিকের কয়েক মাসে বাচ্চার শরীরে র্যাশ হতে পারে। সাধারণ কিছু র্যাশের মধ্যে আছে যেমন ডায়পার র্যাশ, একজিমা, হিট র্যাশ ইত্যাদি। এসব র্যাশ খুব দ্রুত ছড়ায় ও এটা সারতেও সময় লাগে। সেজন্য র্যাশ হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। লাল লাল হওয়ার আগেই র্যাশের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বাচ্চার ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার, আর্দ্র ও সুন্দর রাখতে হবে।
ডায়রিয়া
আপনার বাচ্চার যদি সবুজাভ, পাতলা, মিউকাসযুক্ত পায়খানা হয় এবং সেটা যদি ডায়পার থেকে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তার ডায়রিয়া হতে পারে। তখন সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দিনে কয়েকবার এরকম পায়খানা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। শিশুর পানিশূন্যতা ঠেকানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি, বুকের দুধ বা অন্যান্য দুধ খাওয়াতে হবে।