ভ্রমণের আগে আপনার শিশুর জন্য যে চেকলিস্ট দরকার
একদম ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ভ্রমণ করা বাবা মায়ের জন্য খুব স্বস্তিদায়ক নয়। ভ্রমণ করতে হলে শিশুর ঘুম ও স্বাস্থ্যের উপর বেশ প্রভাব তো ফেলেই, প্রতিদিনের রুটিনও একটু এলোমেলো করতে পারে। তাই বেশির ভাগ বাবা-মা শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করতে বাড়তি সাবধান থাকেন। কিন্তু কিছু টিপস মেনে চললে আর শিশুর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে থাকলে ভ্রমণের সময়টুকুও আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য হয়ে উঠতে পারে আনন্দের।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে শিশুর জন্য সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো ডাক্তারের ছাড়পত্র। আপনার শিশু ভ্রমণ করার জন্য শারীরিকভাবে ফিট আছে কি না এটা অবশ্যই চেক করে নিতে হবে। এছাড়া ডাক্তারের কাছ থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে যাত্রার সূচি ঠিক করুন ও অন্যান্য ফর্মালিটিজ সেরে ফেলুন। ভ্রমনের সময় শিশুর আরামের জন্য যে জিনিসগুলো আপনার হ্যান্ড ব্যাগে রাখা প্রয়োজন:
কানের ড্রপ
শিশুকে যখন প্লেন জার্নির আগে ডাক্তারের কাছে চেকাপ করাতে নিয়ে যাবেন তখন ডাক্তারই পরামর্শ দেবেন কোন কানের ড্রপটি আপনার শিশুর কানের জন্য উপযোগী। সাধারণত বিমান ওঠা বা নামার সময় কানের অভ্যন্তরে বায়ুচাপ বেড়ে যায় এবং শিশু কানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করতে পারে। এ সময় শিশুর ব্যথা কমাতে ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের ড্রপ প্রেস্ক্রিপশনে লিখে দেন। আপনার হাতের কাছে এই ড্রপ রাখুন যাতে প্লেন ওঠা বা নামার সময় আগে ভাগেই এটা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া এসময় শিশুকে ব্যস্ত রাখতে প্যাসিফায়ারও দিতে পারেন।
ডায়াপার
ভ্রমণের সময় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হলো ডায়াপার। বিমানে একটা লম্বা সময় কাটাতে হলে যথেষ্ট ডায়াপার ব্যাগে রাখুন যেনো যাত্রার সময় পিছিয়ে গেলেও শিশুর অসুবিধা না হয়। সেই সাথে ডায়াপার ওয়াইপস এবং ডায়াপার র্যাশ ক্রিমটিও নিয়ে নিন।
সুতি কাপড় ও তোয়ালে
শিশুর জন্য যাত্রায় আলাদাভাবে পরানোর জন্য নরম সুতি কাপড়ের এক দুই সেট জামা ব্যাগে রাখুন। ফুল হাতা জামাও রাখতে পারেন। এসিতে অনেক সময় শিশুর ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই দরকার হলে শিশুকে তোয়ালেতে পেচিয়ে রাখুন বা ছোট কম্বল গায়ে দিয়ে রাখুন। আপনার শিশু যদি বুকের দুধ পানে অভ্যস্ত থাকে তাহলে স্তনপানের সময় তাকে ঢেকে রাখার জন্য অতিরিক্ত তোয়ালেও নিতে পারেন সাথে।
ছোট খেলনা
লম্বা জার্নিতে শিশু অস্থির হয়ে যেতে পারে। তাই তার পছন্দের ছোট খেলনা কাছে রাখুন। এছাড়া শিশু পছন্দ করে এমন ধরনের ছবির বই সাথে রাখতে পারেন। এতে করে ভ্রমণের পুরো সময়টাই সে খেলনা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, অথবা ঘুমাবে।
শিশুর প্রয়োজনীয় খাবার
আপনার শিশু বুকের দুধ পান করলে তার জন্য আলাদাভাবে কৌটার দুধ নেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে শিশু যদি কৌটার দুধ খায় তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ, ফিডার, গরম পানি কাছে রাখুন। ২ বছরের কম শিশুর জন্য বিমানে প্রয়োজনীয় খাবার, গরম পানি, জুস, বাদাম, বিস্কিট, ক্যান্ডি ইত্যাদি রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে ইমগ্রেশনে প্রতিটি খাবারই চেক করে তারপর নিতে দেয়া হয়।
শিশুকে নিয়ে আনন্দদায়ক একটি ভ্রমণ করতে শিশুর প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন আপনার বসার সিটটি যেনো ওয়াশরুমের আশে পাশে হয়, সে ক্ষেত্রে শিশুর বা আপনার প্রয়োজনে বারবার বেশি দূর হেঁটে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।