নবজাতকের নিরাপত্তা: পরিদর্শন, এসআইডিএস (হঠাৎ মৃত্যুর লক্ষণ ) ও কোলে নেওয়ার পদ্ধতি
পরিদর্শনের নিয়ম
- যে কোনো অসুস্থতা নিয়ে, এমনকি কাশি থাকলেও নবজাতককে দেখতে যাওয়া উচিত নয়। সাধারণ ফ্লু-এর সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিও নবজাতকের থাকে না
- হাসপাতালে মা ও শিশু দুজনেই সেরে ওঠার একটি প্রক্রিয়ায় থাকে, তাই বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের পরিদর্শন না করাই ভালো।
- যারা বাসায় আসবেন তাদের জুতা বাইরে রেখে ঢুকতে হবে এবং সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যেন সবকিছু ঠিকমতো পরিষ্কার থাকে।
- নবজাতককে চুমু খাওয়া উচিত নয় কারণ এর ফলে ক্ষতিকর জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। যেটা থেকে ত্বকের সংক্রমণ এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
- নবজাতকের ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা উচিত নয়। নবজাতকের চোখ খুব বেশিদূর দেখতে পারে না, ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে।
সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোম (এসআইডিএস) Sudden Infant Death Syndrome (SIDS)
- কাত না হয়ে নবজাতককে পিঠের ওপর ভর দিয়ে শোয়াতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে কাত হয়ে শোয়ানোর চেয়ে পিঠের দিকে শোয়ানোটা উত্তম।
- বালিশ ব্যবহার করলে শ্বাসগ্রহণে সমস্যা হতে পারে তাই মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে বালিশ না ব্যবহার করাই উচিত।
- শিশুকে কম্বল দিয়ে না মুড়িয়ে পুরো শিশুর মুড়ে দেয় এমন পোশাক (ওনেসির) পরানো উচিত। কম্বল ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
- শক্ত তোশকের ওপর আলাদা করে কোনো কাপড় বিছিয়ে নবজাতককে শোয়ানোর জন্য সঠিক নীতিমালা অনুসরণ করা উচিত।
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
কোলে নেওয়ার পদ্ধতি
- আপনার বাহু নবজাতকের মেরুদন্ডের নিচে রাখুন এবং হাত দিয়ে মাথা ধরে রাখুন। নবজাতকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার দুই হাত ব্যবহার করুন।
- গাড়িতে নবজাতককে এমনভাবে রাখতে হবে যেন নবজাতকের সিট বেল্ট লক থাকে।
- ভাইব্রেটিং স্লিপারে নবজাতককে রাখবেন না। মাথার ঝাঁকুনি এড়াতে ভাইব্রেশন টোতে দিয়ে রাখুন।
- আপনি যদি নবজাতককে বহন করার জন্য ক্যারিয়ার পরানোর কথা ভাবেন তাহলে চলাফেরা করার আগে ঠিকমতো রাখা হয়েছে কি না পরীক্ষা করে নিন।
- নবজাতকের মাথা ধরে কখনো ঝাঁকাবেন না বা তাঁকে দুলুনির মধ্যে রাখবেন না।
তথ্যসূত্রঃ