মায়েদের ঘুম অপ্রতুলতা
বেশির ভাগ মা-ই সন্তান জন্মদানের পরপর ঘুমের অপ্রতুলতায় ভোগেন। আবার কিছু কিছু মায়েরা পর্যাপ্ত ঘুমানোর গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করেন। ঘুমের অভাব মায়েদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক মারাত্মক ফলাফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে। যদিও বাবারাও সম্ভবত খুব ভালো ঘুমাতে পারেন না, তবে মায়েরা আরও বেশি ভোগেন ঘুমের অভাবে। বাচ্চার ডায়াপার পরিবর্তন করতে বা তাকে ঘুম পাড়াতে যখন রাত্রে ছয়-সাতবার উঠতে হয় তখন অবশ্যই পুরো রাতের ঘুম পাওয়া সহজ নয়। তবে ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে আপনি অবশ্যই কিছু কাজ করতে পারেন।
সন্তান জন্মের আগেই একজন মায়ের ওপর কম ঘুমের নেতিবাচক একটা প্রভাব শুরু হয়ে যায়। অবশ্য শিশুর রাতে জেগে ওঠাই মায়েদের রাতে ঘুম কম হবার একমাত্র কারণ নয়। সমস্যা হল বাচ্চাকে বিছানায় শুইয়ে দেবার পর মায়েদের যতক্ষণ জেগে থাকার কথা, তারা তার চেয়েও বেশি সময় জাগেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেবল এই একমাত্র নীরব সময়ে মায়েরা একটু বিশ্রাম নিতে পারেন বা কোনো কাজ শেষ করতে পারেন। কিন্তু তাদের ঘুমের পুরোটা সময়ই ব্যবহার করা উচিত।
অনেক মা-ই ঘুম কম হবার পরেও বিশ্রাম পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা আনেন না। রাতে আট ঘন্টা ঘুমাতে পারলে মায়েদের জন্য সবচেয়ে ভালো হত। তবে তা একদম অবাস্তব বলেই মনে হয়। মায়েরা পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাবেন, এটা যেন আমাদের সংস্কৃতিরও বাইরে। কিছু কিছু মায়েরা কম ঘুমানো নিয়ে আবার গর্ববোধও করেন। তবে সুস্বাস্থ্য ফিরে পাওয়ার জন্য সুষম খাবার গ্রহণ এবং শারিরীক অনুশীলনের সাথে সাথে পর্যাপ্ত ঘুমকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়াও আপনার মনে রাখা উচিত অপ্রতুল ঘুমের কারণে আপনিই একমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন না। আপনি ক্রমাগত ক্লান্ত থাকলে এর প্রভাব আপনার শিশুর ওপরেও পড়বে। বরং পর্যাপ্ত ঘুমালে আপনি আপনার সন্তানের সাথে আরো বেশি সংযুক্ত থাকতে পারবেন। আপনি ক্লান্ত না থাকলে আপনার ১ বছর বয়সী বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করাটাও আপনার জন্য সহজতর হবে। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির অনেকগুলো গুরুতর ঝুঁকিপূর্ণ দিক রয়েছে। ক্লান্ত হয়ে পড়লে আপনার দৈনন্দিন কাজেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে কী কী পরিণতি হতে পারে তা নিয়ে ভাবুন এবং ঘুমকে গুরুত্ব দিন। দিনে একটানা ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে না পারলেও কয়েকবারে ঘুমিয়ে তা পুষিয়ে নিতে হবে।