শিশুর জন্য বেবি-প্রুফ ঘর/ আপনার শিশুর জন্য ঘরকে নিরাপদ করার উপায়
আপনার যখন হামাগুড়ি দেওয়া শিখতে শুরু করবে, তখন বাসাটা তার জন্য নিরাপদ করতে হবে। ছোট ছোট জিনিসপত্র খেয়ে ফেলে, আটকানো দড়ি টেনে, সকেটের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলে অনেকভাবে বাচ্চা আঘাত পেতে পারে। এরপর যখন বাচ্চা দাঁড়াতে শুরু করে তখন নিরাপত্তার ব্যাপারটা আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ তখন বাচ্চা ড্রয়ার টানে, চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করে, টেবলক্লথ ধরে টান দেয়। বাচ্চা বাসায় থাকলে অনেক উপায়েই দুর্ঘটনা হতে পারে।
তার ও সকেট
ঘরের সব সকেট ডাক্ট টেপ করে রাখা উচিত হবে। যদি বাচ্চার হাতের নাগালে পাওয়ার মতো কোনো নিচু প্লাগ থাকে, তাহলে সেসব নিয়েও টানাটানি শুরু করে দিতে পারে। কোনো তার খোলা অবস্থায় রাখা উচিত নয়, নইলে গরম ইস্ত্রীর মতো জিনিসের সঙ্গে বাচ্চা বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে আঘাত পেতে পারে
সিড়ি
ছোট্ট নিরাপত্তা ফটক দিয়ে সবগুলো সিড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বয়স্ক কেউ ওই সিড়ি ব্যবহার করলে নিশ্চিত করতে হবে যেন এটা বন্ধ থাকে। হামাগুড়ি দেওয়া শুরু করলে সিড়ির প্রতি বাচ্চার আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়, কারণ সে তখন শুধু ওঠানামা করতে চায়। কিন্তু সিড়ি বেয়ে ওঠা আর নামা বাচ্চার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কোনো কিছু গিলে ফেলা
কোনো কিছু গিলে ফেললে বাচ্চার দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে যদি সেটি বের না করা হয় তাহলে বাচ্চা শ্বাস নিতে পারবে না। গিলে ফেলা বাচ্চার জন্য বড় একটা ঝুঁকি। বিশেষ করে আঙুর, ফুড র্যাপার। আর ছোট খেলনার মতো জিনিস দূরে রাখতে হবে। যে জিনিসটা গিলে ফেলার মতো ছোট সেটাই আসলে বাচ্চার কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক/ ঔষধ
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ তাকের সবার ওপরে রাখতে হবে যেন বাচ্চা কোনোভাবেই নাগালে না পায়। ঔষধও তালাবন্ধ অবস্থায় রাখতে হবে এবং কোনোভাবেই এখানে সেখানে ফেলে রাখা যাবে না।
চোখে চোখে রাখতে হবে
সবসময় বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখতে হবে। এর মানে এই না বাচ্চার নিজের মতো খেলতে বা হামাগুড়ি দিতে পারবে না। কিন্তু একজনকে নজর রাখতে হবে। এমনকি বাচ্চা যখন ঘুমিয়েও যায়, তখনও চোখ রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চার কোনো ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন কিছু করা যায়।